মাসিকের ব্যাথা নিয়ে নানা তথ্য। ব্যাথা মুক্তি পেতে কী
করবেন ও কখন ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরী?
ছবি:সংগ্রহীত
পিরিয়ড:
ব্যথা নিরাময় করার জন্য খুব ঘনঘন ও প্রযোজনের অতিরিক্ত ব্যথার ওষুধ খাওয়াও শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
মাসিকের সময়ের ব্যথা কী?
মাসিক চলাকালীন সময়ে বা মাসিক শুরু হওয়ার আগে তলপেট, মেরুদন্ড ও পায়ে যে বিশেষ ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথা অনরক বেশি তীব্র না হলেও কিছু কিছু মহিলার ক্ষেত্রে ব্যথার তীব্রতা অনেক বেশি ধারন করতে পারে। মাঝে মাঝে দেখা যায় ব্যথার ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হতে পারে।
এন্ডোমেট্রিয়োসিস বা ইউটেরাইন ফাইব্রোয়েডস এর কারণে মাসিকের সময় ব্যথা হয়ে থাকে।কোনো সুনিদির্ষ্ট কারণে এ ব্যথা হয়না। তবে সময়ের সাথে সাথে ও বিশেষ করে সন্তান প্রসবের পর থেকে এই ব্যথা অনেক কমে আসে। মাসিকের সময় যে ব্যথা হয়ে থাকে তা মেনোর্যালজিয়া, মেন্সট্রুয়াল ক্রাম্পস, এবং ডিসমেনোরিয়া নামে পরিচিত।
মাসিকের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন?
মাসিকের সময় ব্যথা বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিছু পদ্ধতি:
১. পিঠ ও পেল্ভিক অংশে হিটিং প্যাড বা হট ওয়াটার ব্যাগের মাধ্যমে সেঁক দিতে হবে।
২. তলপেটে হালকাভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন।
৩. প্রতিবার টয়লেটে গিয়ে সাধারণ পানির পরিবর্তে উষ্ণ গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
৪. ঠান্ডা শরবত বা ফলের রস পান করুন।
৫. সঠিক নিয়মে নিয়মিত ব্যায়াম ও অনুশীলন করতে পারেন।
৬. বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
৭. গরম পানিতে গোসল করতে হবে ও গোসলের সময় ব্যথার স্থানে উষ্ণ গরম পনি লাগাতে পারেন।
৮. সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
মাসিকের সময় ব্যথা হওয়ার কোন পর্যায়ে ডাক্তারের কাছে
যেতে হবে?
১. একটানা তিন মাস পর্যন্ত এ ব্যথা স্থায়ী হলে।
২. মাসিকের সময় ছাড়াও অন্য সময় তলপেটে ব্যথা অনুভাব করলে।
৩. তলপেটে খিঁচুনি, টানের সাথে ডায়রিয়া বা বমি বমি ভাব যদি দেখা দিয় তাহলে।
৪. আই-ইউ-ডি প্রতিস্থাপনের পর ব্যথা হলে।
তবে অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোন ব্যথা বা সমস্যায় একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরী।
আরও জানুন:
মাথা ব্যাথা কেন হয়? মাইগ্রেনের লক্ষণ: মাথাব্যথার প্রতিকার:
কিডনি নষ্ট হওয়ার অন্যতম কিছু অনিয়ম। কিডনি নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ: যা মেনে চলা জরুরী।
0 Comments