ছোট মাছ আমাদের সকলের কাছে বেশ প্রিয়। আকারে ছোট হলেও পুষ্টিতে ছোট মাছ কোনভাবেই পিছিয়ে নেয়। আমাদের দেশে নানা রকম ছোট মাছ দেখা যায়। যেমন: মলা, ঢেলা, পুঁটি, ট্যাংরা, কাচকি, ফলি ইত্যাদি। এসব মাছ সবার কাছে যেমন পরিচিত তেমন জনপ্রিয়। এ ছাড়া এ মাছে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম,আয়রন, প্রোটিন, ফসফরাস।
ছোট মাছের উপকারিতাঃ
১। ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটায়: এ মাছে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। এ মাছ কাঁটাসহ খাওয়া হয় বলে অনেক বেশি ক্যালসিয়াম পাওয়া যায় । তাছাড়া মলা, ঢেলা, পুঁটি, ছোট চিংড়ি, কাচকি ইত্যাদি মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে। পাশাপাশি এতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘এ’ । যার মাধ্যমে শরীর সুস্থ থাকে। মানবদেহে দৈনিক প্রচুর ক্যালসিয়ামের চাহিদা থাকে, যার অনেকাংশ পুরণ করতে পারে এই ছোট মাছের উপকারিতা। সাধারণত বাড়ন্ত শিশু, গর্ভবতী মা এবং প্রসূতি মায়েদের ক্যালসিয়ামের চাহিদা তুলনামুলক বেশি থাকে তাই তাদের ছোট মাছ খাওয়া অনেক বেশি প্রয়োজন। তাছাড়া হাড় ও দাঁত গঠনে ক্যালসিয়াম ভূমিকা রাখে । তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ছোট মাছ রাখা উচিত।
২।চোখ ভালো রাখে: এ মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ রয়েছে। যা রাতকানা বা অন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে দূরে রাখে। শিশুদের রাতকানা রোগ নিয়ন্ত্রনে ভিটামিন-এ প্রয়োজন। যা মলা, ঢেলা ও অন্যান্য ছোট জাতীয় মাছ থেকে পাওয়া যায়। তাছাড়া দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্যও এ মাছ অনেক সাহায্য করে থাকে।
৩। শিশুদের বেড়ে উঠতে সাহায্য করে: বাড়ন্ত শিশুদের জন্য ছোট মাছের উপকারিতা অনেক বেশি কার্যকর। এ মাছে আছে প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-সি ইত্যাদি, এগুলো শারীরিক গঠনে সাহায্য করে। পাশাপাশি শিশুদের বেড়ে উঠতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
৪। ডায়বেটিস রোগীদের জন্য উপকারিতা: ডায়বেটিস রোগীদের জন্য প্রয়োজন হয় খনিজ লবণ। যার জন্য গুঁড়া মাছ খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া হৃদরোগ, স্ট্রোক রোগ, গর্ভবতী ও দুগ্ধপ্রদানকারী মায়ের জন্য গুঁড়া মাছ খুবই দরকারি।
৫। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন রাখে:সাধারণত যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের গুঁড়া মাছ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৬। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে: এতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, আয়রন, প্রটিন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম। যা খেলে আমাদের দেহরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
ছোটো মাছ খাওয়ার সতর্কতা:
এ মাছে প্রোটিন ও জলীয় অংশ বেশি থাকায় এই মাছ গুলো দ্রুত জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে । তাই এসকল মাছ কেনার পর ভালোভাবে পরিষ্কার করে দ্রুত রান্না করে ফেলায় ভালো।
তায় আমাদের উচিত ছোট মাছের উপকারিতা এর কথা মাথায় রেখে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ছোট মাছ রাখা । অনেক সময় দেখা যায় পরিবারের ছোট সদেস্যরা এ মাছ খেতে পছন্দ করেনা । তাদেরকেও এটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ।পাশাপাশি পরিবারের সকলকে এ মাছ খাবার অভ্যাস তৈরি করা প্রয়োজন । এর মাধ্যমে অনেক রোগবালাই থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
0 Comments