Add

জেনে নিন কচুশাকের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

 কচুশাকের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

taro
ছবি: সংগ্রহীত।


কচুশাক - শাক খেতে পছন্দ করেনা এমান মানুষ খুব কমই দেখা যায়। শাক অনেক প্রকার হয়ে থাকে। তার মধ্যে আমাদের দেশে কচুশাক খুবই পরিচিত। এই শাক গ্রামে বেশি পাওয়া যায়। বিশেষ করে নরম ও স্যাঁতসেঁতে  জায়গায়, জমির ক্ষেতের আইলে, পুকুরপাড়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায়।

গ্রামে এটি সহজলভ্য হলেও শহরে রয়েছে এর বেশ কদর। এটি বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। তবে তার মধ্যে ছোট মাছ, ইলশ মাছ, চিংড়ি বা মাছের শুটকি  দিয়ে কচু শাক সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। শাকটি অনেক সহজলভ্য হলেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এটিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। রোগ প্রতিরোধে কচুশাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পালন করে। 

কচুশাকের ভিটামিন ও পুষ্টিগুণের পরিমান

কচু শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান। 

প্রতি ১০০ গ্রাম কচুশাকে যে ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হলো:

 ৩.৯ গ্রাম প্রোটিন, ৬.৮ গ্রাম শর্করা, লৌহ- ১০ মিলিগ্রাম , ভিটামিন বি-১ (থায়ামিন) ০.২২মিলিগ্রাম , ভিটামিন বি-২ (রাইবোফ্লেবিন) ০.২৬ মিলিগ্রাম , ভিটামিন সি- ১২ মিলিগ্রাম , স্নেহ বা চর্বি- ১.৫ গ্রাম , ক্যালসিয়া- ২২৭ মিলিগ্রাম এবং ৫৬ কিলো গ্রাম ক্যালরি। 


আসুন জেনে নেওয়া যাক স্বাস্থ্যের জন্য কচুশাকের উপকারিতা কতটাঃ

১। হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে: হার্ট মানব শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গে রক্ত প্রবাহ করে হার্ট। তবে এখানেই যখন চর্বি জমে যায়, তখন ধমনীগুলো ব্লক হয়ে যায়। এর ফলে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।  এটি এড়াতে কচুশাক খুব ভালো ভূমিকা রাখে। এতে নাইট্রেট রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ও হার্টকে সুস্থ রাখে।

২। দৃষ্টিশক্তি বাড়ে: কচুশাকে অনেক ধরনের পুষ্টি পাওয়া যায়। এতে পাওয়া বিটা ক্যারোটিন চোখের জন্য খুব উপকারী। তাই কচুশাক খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।

৩। দাঁত ও হাড়ের  ক্ষয় রোধ করে: কচু শাকে থাকা  মূল কিছু উপাদান হলো  প্রচুর  ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ ও ফসফরাস। তাই দাঁত ও হাড়ের গঠনে এবং ক্ষয়রোধে  কচু শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি।

৪। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত যারা তাদের জন্য কচুশাক অনেক উপকারী। রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে খাবার তালিকায় এটি রাখা দরকার। 

৫। ওজন কমাতে সাহায্য করে: বেশি তেলযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে ফ্যাট জমে যায়। কচু পাতায় খুব কম ক্যালোরি থাকে। এতে ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে থাকে। 

৬। টেনশন নিয়ন্ত্রণ করে: যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের খাবারে কচুশাক  রাখা প্রয়োজন। এতে তেমন ফ্যাট থাকে না এবং সোডিয়ামের পরিমাণও তুলনামূলক কম থাকে। নিয়মিত কচুশাক  খেলে হাইপারটেনশন অনেকটা  নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৭। গর্ভবতী অবস্থায় কার্যকর: কচু শাকে থাকে নানা রকমের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান।যা গর্ভবর্তী মা ও শিশুর জন্য অনেক উপকারী।

৮। কোলেস্টেরল  নিয়ন্ত্রণ করে: কচু শাক খেলে রক্তের কোলেস্টরেল মাত্রা নিয়ন্ত্রনে থাকে। উচ্চরক্ত চাপে ভোগা রোগীদের জন্য কচুশাক এবং কচু বেশ কার্যকরী।

৯। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: নিয়মিত কচুশাক খেলে কোলন ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে যায়।

অপকারিতা:

কচুশাকে তেমন কোনো অপকারিতা নেই বললেই চলে। রান্নার তারতম্যে মাঝে মধ্যে হালকা গলা ধরতে পার। তবে যাদের এলার্জি ও এ্যাসিডিটির সমস্যা  আছে তাদের কচুশাক বেশি না খাওয়াই ভালো।

আরও পড়ুন: 

গাজর খাওয়ার উপকারিতা। গাজরের যত গুণাগুণ- Carrot:


Post a Comment

0 Comments