ডায়াবেটিস ডায়েট:
অনেক মানুষ সাধারণত জানেন না যে ডায়াবেটিস হলে খাবার তালিকায় কী রাখা উচিত। তাছাড়া চিনি কী পরিহার করা উচিত বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয় কিনা ঠিকমত বুঝতে পারের না। কারণে অনেক সময় রোগী বিরক্তবোধ করেন খারার খেতে গিয়ে।
সাধারণত প্রতিদিন খাবার তালিকায় দুই ধরনের ফল রাখা প্রয়োজন। খাবার খাওয়া অন্তত ১০ মিনিট আগে সালাদ খেতে হবে, যাতে করে রোগী প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার না খায়।
ডায়াবেটিস রোগীর খাবার তালিকা:
১। সবুজ শাকসবজি: যাদের ডায়াবেটিস নেই তবে তাদেরও ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সবুজ শাকসবজি খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। শাকসবজিতে থাকে প্রচুর ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। সবুজ শাকসবজি যেমন: পুইশাক, পালং শাক, কচুশাক, মটরশুঁটি, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, লাউ, কচুলতি ইত্যাদি।
২। ফলমুল : নিয়মিত ফল খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। যদি ডায়াবেটিস না থাকে তাহলেও ফল খাতে পারেন। কারণ এটি আপনার ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের লিচু, ডালিম, পেয়ারা, জাম, এবং অ্যাভোকাডো খাওয়া খুবই উপকারী।
৩। দুগ্ধজাত খাদ্য: ডায়াবেটিক খাদ্য হিসাবে ফল ও শাকসবজি পাশাপাশি সীমিত পরিমাণে দধ, টকদই,বা পনির খাওয়ার যেতে পারে। বিশেষ করে টক দই এবং দুধ বেশ উপকারী। তবে সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।
৪। মাছ: মাছের মধ্যে রয়েছে আমিষ ও খনিজ উপাদান ও জিরো কার্বোহাইড্রেট। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক ভালো একটি খাদ্য মাছ। মাছ খেলে ব্লাড সুগার বাড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। মাছের পুষ্টি বলতে শুধুমাত্র সামুদ্রিক মাছই নয়, আমাদের দেশের নদ-নদী, খাল-বিলে যেসব মাছ পাওয়া যায় তাতেও রয়েছে অনেক পুষ্টি। সেজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার তালিকায় মাছ রাখতে পারেন।
৫। চিনি ছাড়া লিকার চা: চায়ের লিকার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এমনকি কিডনি রোগীদের জন্য ও বিশেষ এক ধরনের ঔষধ হিসাবে কাজ করে। চিনি ছাড়া মানেই হলো জিরো ক্যালরি এবং জিরো কার্বোহাইড্রেট। অন্যদিকে লিকারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নানা ফলমূল থেকে পাওয়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকেও ২০ গুন বেশি সমৃদ্ধশালী হয়ে থাকে। সেজন্য চিনি ছাড়া লিকার চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারি।
ডায়াবেটিস রোগীদের যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত:
১। চিনিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।
২। বেশি পরিমান কাচা লবণ খাওয়া যাবে না।
৩। কোমল পানীয় বা ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪। আইসক্রিম বা ক্যান্ডি খাবেন না।
৫। বেশি তেলে ভাজা বা তৈলাক্ত খাবার খাবেন না।
৬। ভাত, আলু, কলা এবং গাজর রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ায়। তাই এগুলো কম খাওয়ায় ভালো।
বি: দ্র: সকলের ডায়াবেটিস লেবেল সবসময় একরম থাকে না। তাই খাবারের পরিমানে বিভিন্ন সময় তারতম্য করতে হয়। আপনার শরীরের সুগারের মাত্রা ও বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভৃত্তি করে খাবার গ্রহণ করা উচিত। তবে ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
0 Comments