Add

কলার পুষ্টিগুণ, কলার বিভিন্ন যাত ও উপকারিতা:

কলার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা:

কলার পুষ্টিগুণ - আমাদের দেশে কলা অত্যান্ত পরিচিত একটি ফল। কলার পুষ্টিগুণ যেমন বেশি, তেমনই সুস্বাদু। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা প্রয়ই থেকে থাকে। এটি পাকা অথবা কাঁচা উভয় ভাবে খাওয়া যায়। কাঁচা কলা সবজি হিসাবে খেলেও পাকা কলা খাওয়া হয় ফল হিসাবে। তাছাড়া পাকা ও কাচাঁ কলার পুষ্টিগুণ ও স্বাদের  মধ্যে আছে গুণাগুণের ও পার্থক্য। 


কলার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা:
চিত্র:সংগ্রহীত।

কলার পুষ্টিগুণ 

কলাতে আছে বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান। যেমন- ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, রিবোফ্লাভিন, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক এসিড, নায়াসিন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, কপার, ডায়াটারি ফাইবার ও প্রোটিন ইত্যাদি।


কলার বিভিন্ন যাত: 

মর্তমান, সিঙ্গাপুরি, কাঁঠালি কলা, সবরি কলা, কবরি কলা, চাঁপা কলা, বীচিকলা, অমৃত সাগর, আনাজি কলা ইত্যাদি।  


উপকারিতা:

১। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের ক্ষেত্রে পাকা কলা অনেক বেশি ভূমিকা রাখে।কলার মধ্যে আঁশ থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। তাছাড়া এটি দ্রুত হজম করতেও সাহায্য করে। 

২। উচ্চ রক্তচাপ কমায়: পাকা কলার পুষ্টিগুণ এর মধ্যে উচ্চ পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে এবং কম সোডিয়াম থাকে। নিয়মিত এই কলা খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। যার ফলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেশি কমে যায়। 

৩। রক্তস্বল্পতা দূর করে: পাকা কলার পুষ্টিগুণ এ থাকে আয়রন। যার মাধ্যেমে রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে করা যায়। 

৪। কোষের ক্ষতি রক্ষা করে: কলাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে পাকা কলা ইন্টারনাল কোষ ও রেডিক্যাল কোষের জন্য যে সকল ক্ষতি হয় তা প্রতিরোধে সাহায্য করে ও রোগের ঝুঁকি কমায়।

৫। শক্তি যোগায়: কলাতে উচ্চ পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট ও সুগার থাকে।  যার ফলে পাকা কলা খেলে শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। 

৬। ত্বকের যত্নে: ত্বকের যত্নে  কলার পুষ্টিগুণ এর ভূমিকা অনেক। কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফটোকেমিক্যাল থাকে যা  ত্বক, শরীর এবং চুলকে পুষ্টি সরবারহ করে।

কলা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, ব্রণ দূর করতে, মুখের কালো দাগ এ চোখের নিচে কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে। 

৭। বিষন্নতা ও মানসিক চাপ কমাতে: কলায় আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের পাশাপাশি থাকে ট্রিপটোফ্যান নামক এক ধরণের অ্যামিনো এসিড। যার ফলে কলা খাওয়ার পর, এই এসিড রক্তে মিশে গিয়ে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে সেরোটোনিন নামক এক ধরণের উপাদান তৈরি করে থাকে।  যা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।


আরও পড়ুন:



Post a Comment

0 Comments