Add

আমলকীর যত গুনাগুনঃ

আসুন জেনে নিই আমলকীর যত গুনাগুনঃ 


amla
ছবি: সংগ্রহীত

আমলকী ফলটার সাথে আমরা কমবেশ সবাই পরিচিত। তবে আমলকীর গুনাগুন সম্পর্কে কতজনই বা জানি! ছোট্ট একটি ফল। খেতে একটু কষ ও তেঁতো ভাব লাগে। তবে খাওয়ার পর অনেকটা  মিষ্টি মিষ্টি মনে হয়। শারীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান রয়েছে এই আমলকীতে।  এটি একটি ফলই নয়, এটি  ভেষজ উপাদানও বলা চলে। প্রতিদিনই আমলকী খেলে পেতে পারেন দারুণ সব উপকার। বাজারের বিভিন্ন ভিটামিন সি ট্যাবলেট না খেয়ে আমলকী খেলে অনেক বেশি উপকার পেতে পারেন। 

আমলকী খেলে যেসব উপকার পাবেনঃ

১। রোগ প্রতিরোধে:  আমলকী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মানসিক চাপ কমাতে অনেক ভূমিকা রাখে।

২। চুলের যত্নে: আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চুলের জন্য  অনেক বেশি কাজ করে। এটি চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলেরগোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলে বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও চুল পাকা প্রতিরোধ করে।

চুলের যত্নে আরও পড়ুন:

৩। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের ক্ষেত্রে:  আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে অনেক ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এটি পেটের সমস্যা ও বদহজম প্রতিরোধ  সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য সম্পর্কে আরও জানুন:

৪। এ্যাসিডিটের সমস্যায়: আমাদের কমবেশ সবাই এ্যাসিডিটের সমস্যায় ভুগে থাকি। এক গ্লাস দুধ বা পানিতে আমলকীর গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি এ্যাসিডিটির সমস্যা কম করতে অনেক সাহায্য করবে। তবে পরিমিতি খেতে হবে।

৫। ত্বকের যত্নে: প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।  এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে।  পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

ত্বকের যত্ন সম্পর্কে আরও জানুন:

৬। দৃষ্টিশক্তী বাড়াতে:  আমলকী দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে অনেক ভূমিকা রাখে। তাছাড়া  চোখের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ও চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যার উপোষম দিয়ে থাকে। 

৭। দাঁতের যত্নে: আমলকির গুনাগুন   দাঁতের যত্নে অনেক বেশি । প্রতিদিন আমলকি খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত ও মজবুত হয়।

৮।খবারে রুচি বাড়াতে:  আমলকী মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের খাবারে রুচি কম তারা আমলকি খেয়ে দেখতে পারেন।

৯। শরীর ঠাণ্ডা রাখতে: শরীর ঠান্ডা রাখতে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ও পেশী মজবুত করতে আমলকির জুড়ি নেই। 

১০।  মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের অসুস্থতায়: আমলকি  হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে থাকে।তাছাড়া  আমলকীর  মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে থাকে। 

১১। ওজন কমাতে: শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে ও ওজন নিয়ন্ত্রনে আমলকী সাহায্য করে থাকে।


১২। ডায়বেটিস প্রতিরোধ: ডায়বেটিস  প্রতিরোধে আমলকীর গুনাগুন  অনেক  সাহায্য করে।

১৩। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে: কোলেস্টেরল  লেভেল নিয়ন্ত্রনে আমলকির রয়েছে যথেষ্ট ভূমিকা।

ভালো কোলেস্টেরল বাড়ানো ও খারাপ কোলেস্টেরল কমানোর উপায়:

আমলকীর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। তবে অতিরিক্ত আমলকি খেলে এ্যাসিডিটি, এলার্জি ছাড়াও  দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। তাই পরিমত খাওয়ায় ভালো।


আরও পড়ুনঃ  টনসিল স্টোন কী? কেনো হয়? ও প্রতিকার:

Post a Comment

0 Comments