Add

শিশু জন্ম নেওয়ার ৬ মাস পর থেকে খাবার তালিকা:

জেনে নিন শিশুর বয়স ছয় মাস হলে কোন খাবারগুলো

 অনেক বেশি প্রয়োজন:


  ছবি: https://pixabay.com/

 
শিশু জন্ম নেওয়ার ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই এ কথাটি আমাদের সকলেরই জানা। তবে ৬ মাস পর থেকে শিশুর খাদ্যে  কোন কোন খাবার রাখা প্রয়োজন এবং সঠিক বেড়ে ওঠা ও সুস্থ শরীরের জন্য কি কি খাবার যোগ করা প্রয়োজন তা নিয়ে রয়েছে অনেকের মধ্যে অনেক ভ্রান্ত ধারণা।

 প্রথমত জেনে নিই শিশুরা কি কি খেতে পরে।

১। সিদ্ধ করা ভাত বা সুজির সাথে দুধ বা ফলের রস খতে দেওয়া যেতে পারে।

২। নরম ফলমূল যেমন পাকা আম, পেঁপে, বিচি ছাড়া পাকা পেয়ারা, কলা, সিদ্ধ করা আপেল, নাশপাতি ইত্যাদি।

৩। সিদ্ধ করা নরম সবজি যেমন মিষ্টি কুমড়া আর মিষ্টি, আলু, গাজর, পটল, লাউ পেঁপে ইত্যাদি সবজি খেতে দেওয়া যেতে পারে।

কখন খাওয়াবেন?

 অবশ্যই শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে। বুকের দুধের খাওয়ানোর আগে, মাঝখানে অথবা পরে বাড়তি খাবার খাওয়ানোর উপযুক্ত সময়। 

 কিভাবে খাওয়াবেন? 

১। খাওয়ানোর জন্য অবশ্যই শিশুর হা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। 

২। চামস অথবা হাতের আঙ্গুলে খাবার নিয়ে আলত করে খাওয়ানোর চেস্টা করুন। 

 ৩। জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণ পর আবার চেস্টা করুন। 

 কতবার খাওয়াবেন?

 প্রথমত দিনে এক থেকে দুই বার। তবে অস্থে আস্থে তিন থেকে পাঁচবার খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।

 খাবারের প্রকার।

 প্রতিদিন খাবার তালিকায় ৩ শ্রেণির খাবা রাখা অনেক বেশি প্রয়োজন। 

 ১। শক্তি বর্ধক: সুজি, ভাত, রুটি, পাউরুটি, মুড়ি, চিড়া, আলু, তেল ইত্যাদি।

দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে যে সকল পুষ্টিকর খাবার: দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করে কোন খাবার?

 ২। শরীর বর্ধক: মাছ, মাংস, ডাল, ডিম, ছোলা, শিম বিচ ইত্যাদি। 

 ৩।রোগ প্রতিরোধক: বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফলমুল। 

আস্থে আস্থে খাবারে পরিমান বাড়ানোর চেস্টা করুন। প্রতিদিন খাবার তালিকায় নতুন খাবার যোগ করার চেস্টা করুন। শিশু কোন ধরনের খাবার  খেতে পছন্দ করে সেটি অনুযায়ী খাবার নির্বাচন করুন।

বিভিন্ন ধরনের খাবার, যা (৬-৯) মাসের শিশুদের খাওয়াবেন:

১। চটকানো মিহি করা মুগির মংস, মাছ।

২। দুধ জাতীয় খাবার: দই, পুডিং, পনির মাখন ইত্যাদি। 

৩। চটকানো নরম করা ভাত, রুটি, নুডুলস, তাছাড়া ভাত, ডাল, তরকারি অথবা দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

৪। শিম বিচ, মুগ ডাল, মসুর ডাল, খোসা ছাড়ানো ছোলার ডাল ইত্যাদি।

৫। একটি সিদ্ধ বা আধাসিদ্ধ ডিম চটকিয়ে নরম করে খাওয়াতে পারেন।

৬।খাবার নরম থেকে আস্থে আস্থে শক্ত করুন। পুরাতোন খাবারের সাথে সাথে নতুন খাবার যুক্ত করুন।

 ৭। সিদ্ধ করা গাজর, আলু, পটল, লাউ, শিম, মিষ্টিকুমড়া, গাজর, মিষ্টিআলু ইত্যাদি দিন।

৮। সবার জন্য যেখাবার রান্না করেন তা থেকে শিশুদের কিছু পরিমান খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। 

৯। এক বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে গরুর দুধ দিবেন না। 

১০। শক্ত খাবার যেমন, গাজরের টুকরা, বাদাম, গোটা আঙ্গুর, কাটা সহ মাছ ইত্যাদি খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। তাতে আপনার শিশুর গলায় আটকে দম বন্ধ হয়ে আসতে পারে। 

১১। ৯ মাসের মধ্যে শিশুকে বিবিধ খাবারে অভস্থ করুন। তা না হলে কোনো বিশেষ খাবারে আসক্ত হয়ে পড়বে। 

বিভিন্ন খাবারের মিশ্রণ :

১। দুই রকমের খাবারের মিশ্রণ: ভাতের সাথে যেকনো ডাল, নরম করা রুটির সাথে মাছ/ মাংস/ ডিম, চাল বা গমের সুজির সাথে দুধ বা দুধভাত, নরম ভাতের সাথে মাছ/ডিম। 

২। তিন রকমের খাবারের মিশ্রণ: নুডুলস + ডিম + সবজি, ভাত+মাছ / মাংস+ সবজি, ভাত + ডাল + মিষ্টিকুমড়া, চিড়া + কলা দুধ, ভাত + ডাল + আলু খেচুড়ি, ভাত + শিম বিচ / মটরসুটি / ছোলা + মিষ্টিকুমড়া, ভাত + মুরগি+ সবজি। 

৩। চার রকমের খাবারের মিশ্রণ: ভাত+ ডাল + শিম/মটরশুঁটি, সবজিহ/ মাছ/ মাংস, নুডুলস+ সবজি+ ডিম+ মাংস/মাছ। সব খাবারের সাথে স্বাদ বাড়ানোর জন্য তেল বা ঘি দিতে হবে। এতে খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীর বৃদ্ধি পায়। তবে স্বাদ বাড়াতে চিনি বা চিনিযুক্ত কিছু যোগ করা যাবে না। 

বিশেষ পরামর্শে একজন ভালো শিশু বিশেষজ্ঞ বা পুষ্টিবিদের সরানোপন্ন হতে পারেন।

স্বাস্থ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ:


Post a Comment

0 Comments