ব্রণ কী? : (Pimple)
ব্রণ নামটার সাথে আমরা কমবেশ সবাই পরিচিত। প্রায় মানুষের এটি একটি নিত্যদিনের সমস্যা। এ সমস্যা নিয়ে অনেকেই থাকেন দুশ্চিন্তায়।
ব্রণের ফলে ছোট ছোট লল সাদা দাগ, দানা বা ফুসকুড়ি সৃষ্টি হয়। এটি খুব বেশীদিন স্থায়ী থাকে না। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে প্রায় সারাবছর ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণ মানসিক যন্ত্রনার কারণ হতে পারে। এর ফলে ত্বকে দাগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করা যায় এ ধরনের সমস্যার ঝুঁকি তত কমে আসে।
ব্রণ কেন হয়?
ব্রণ হবার পেছনে বেশ কয়েকটা কারণ আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করে থাকেন। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে - ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সেবাম নামের এক ধরণের তেল নিঃসরণ হয়। এটা ত্বকের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হলেই ব্রণের সৃষ্টি হয়।
বয়ঃসন্ধিকালে এ সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়।
- এছাড়াও, হরমোনের পরিবর্তন, নিদ্রাহীনতা, ব্যাকটেরিয়া, ত্বকের যত্নের অভাব, ভুল প্রসাধনী ব্যবহার করা ইত্যাদি কারণেও ত্বকে ব্রণ দেখা দিতে পারে।
ব্রণ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
যেমন:
* ট্রপিকাল ব্রণ: এ ধরনের ব্রণ অতিরিক্ত গরম ও বেশি আদ্রতাযুক্ত বাতাসের কারনে হয়ে থাকে।
* কসমেটিকা ব্রণ: এটি কোন বিশেষ ধরনের প্রসাধনী দীর্ঘদিন ব্যাবহারের ফলে সাইডইফেক্ট হিসাবে দেখা দেয়।
* প্রিমেন্সট্রুয়াল ব্রণ: যা মেয়েদের মাসিকের আগে মুখমণ্ডলে দেখা দেয়।
* একনি ব্রন: স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবনের ফলে স্টেরয়েড একনি ব্রণ হয়।
* ডিটারজিনেকস ব্রণ: অধিক ক্ষারীয় পদার্থ যেমন, সাবান ব্যাবহারের ফলে ডিটারজিনেকস ব্রণ দেখা দিতে পারে।
ব্রণ হলে যা করবে বা করবেন না:
* প্রতিদিন কমপক্ষে এক থেকে দুই বার সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
* কোনভাবেই হাত দিয়ে ব্রণ স্পর্শ করা যাবেনা।
* তৈলাক্ত কোন প্রসাধনী ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
* দুধ, দই, মাখন, কোল্ডড্রিংকস খাওয়া কমিয়ে দিন।
* মাথার ত্বক পরিষ্কার ও খুশকিমুক্ত রাখুন।
* বেশি করে ভিটামিন ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।
* পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করুন।
* মানসিক চাপমুক্ত থাকুন।
* রোদ-গরম এড়িয়ে চলুন।
ব্রণের চিকিৎসায় করণীয়:
* ব্রণের সংক্রমণ যদি খুব বেশি দেখা দেয় তখন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টেট্রাসাইক্লিন অথবা ইরাইথ্রোমাইসিন সেবন করা যেতে পারে। তাছাড়াও রেটিন-এ ক্রিম অথবা পেনক্সিল ২.৫ জেলটি ব্যাবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
* অনেক ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যাবহার করেও ব্রণের সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। প্রতিদিন খাটি মধু ব্যাবহার করে ব্রণের সংক্রমণ একদম নির্মূল করা যায় বলে প্রচলিত আছে। অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করলে ব্রণ কমে। এছাড়া ত্রিফলা, গোলাপ জলের টোনার এগুলো দিয়েও ব্রণের চিকিৎসা করা যেতে পারে।
তবে বেশি সংক্রমণ দেখা দিলে অবশ্যয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
0 Comments